মোমিনুল ইসলামঃ
অর্থ আত্মসাতের একাধিক অভিযোগ সহ নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে নিমজ্জিত রয়েছে মেলান্দহ উপজেলা হাজরাবাড়ি পৌরসভার অন্তর্গত প্রায় শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী হাজরাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়টি। দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের পাহাড়সম অভিযোগ মাথায় নিয়েই বহাল তরিয়তে রয়েছেন পৌর শহরস্থ ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টির অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আঃ মোতালেব ও অফিস সহকারী ওয়াজেদ আলী।
জানা যায়, ১৯২৬ সনে এ বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ইতিপূর্বে মরহুম শামসুল ইসলাম প্রধান শিক্ষক থাকা অবস্থায় হাজরাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল চারদিক। কিন্তু বর্তমানে অত্র বিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি ও পড়ালেখার মান নিয়ে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে অভিভাবক ও সচেতন মহলের মাঝে। বর্তমানে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ মোতালেব ও অফিস সহকারী ওয়াজেদ আলী। তারা দু’জন যুগসাজসে অত্র বিদ্যালয়ের আয় ব্যয়ের কোন হিসাব না রেখে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২০১৮ সালে মন্ত্রণালয়ের অডিট পর্যন্ত জোড়া তালির হিসাব থাকলেও বর্তমান পর্যন্ত মাসিক ও বার্ষিক কোন আয় ব্যয়ের খাতা ও কলামনার ক্যাশ বই খাতা নেই। হাজরাবাড়ি সোনালী ব্যাংকে হাজরাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের একাউন্ট থাকলেও সেখানে লেনদেন না করে তারা দু’জন টাকা পয়সা হাতে রাখেন। বিদ্যালয়ের ভিতরে আমগাছ সহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়াও বিদ্যালয়ের মার্কেট ভেঙে ইট, বড় রড় বিক্রির টাকাও ক্যাশে জমা না করে ঐ দুইজন শিক্ষক আত্মসাত করেছেন। এদিকে দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়ে নেই কোন ম্যানেজিং কমিটি। টাকা পয়সা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে কমিটি না করে বারবার এডহক কমিটি করে এসব অপকর্ম গুলি চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসএসসি /২০২২ ইং পরীক্ষার কেন্দ্রের ছাত্রছাত্রীদের ক্যারিয়ার ও শারীরিক শিক্ষার বিষয়ে নম্বর কম দিয়ে ফেল করিয়ে কেন্দ্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে। যদিও পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলে উক্ত নম্বর ঠিক করে নিয়ে আসেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
উপরোক্ত অভিযোগগুলো সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্রদের অভিভাবক ও সচেতন মহল।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply