আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
লাগাতার বিক্ষোভ-আন্দোলনে রীতিমতো যেন আগুন (US Protest) জ্বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেদেশে কিছুদিন আগেই শ্বেতাঙ্গ পুলিশের অত্যাচারে মারা যান কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড। তাঁর (George Floyd) মৃত্যুর পর গত ৬ দিন ধরে একটানা বিক্ষোভ চলছে। রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) বাসভবন হোয়াইট হাউজের (White House) সামনে বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিল। তখন তাঁদের থামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সময়েই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের রীতিমতো সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্য়াশের শেল এবং ফ্ল্যাশ ব্যাং ডিভাইস ব্যবহার করে আমেরিকার পুলিশ। হোয়াইট হাউজের সামনে এই সহিংসতার পরিবেশ দেখে চমকে গেছে গোটা বিশ্ব। জানা গেছে, বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউজের সামনে জড়ো হয়ে ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গারাজ্যের মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তুমুল বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ন্যায়বিচারের দাবিতে ক্রমাগত জোরালো হচ্ছে বিক্ষোভ। এর আঁচ লেগেছে হোয়াইট হাউসেও। শুক্রবার (২৯ মে) হোয়াইট হাউস এলাকায় একত্রিত হয় বিক্ষোভকারীরা। এদিন পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষও হয়।
সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানয়, পরিস্থিতি ক্রমাগত উত্তপ্ত হতে থাকায় ট্রাম্পকে বাঙ্কারে লুকিয়ে রাখেন সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তারা। মূলত সন্ত্রাসী হামলাজনিত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য হোয়াইট হাউসে গোপন ওই বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছিল।
শুক্রবার প্রায় ১ ঘণ্টা মাটির তলার বাঙ্কারে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এদিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ও পুত্র ব্যারন ট্রাম্পকেও বাঙ্কারে রাখা হয়েছিল। হোয়াইট হাউসের সামনে শনি ও রবিবারও বিক্ষোভ হয়েছে। তবে এ দুই দিন ট্রাম্প কী করেছেন তা জানা যায়নি।
রবিবার রাতে হোয়াইট হাউসের সামনে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও দেখা গেছে। এদিন হোয়াইট হাউসের কাছেই একাধির উৎস থেকে আগুন চোখে পড়ে। দেখা যায় একটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্টে দেখা গিয়েছে, সাধারণ মানুষ জড়ো হয়ে কোথাও গ্রাফিতি আঁকছেন, কোথাও জ্বলছে আতশবাজি।
বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে রবিবার একের পর এক টুইট করেছেন ট্রাম্প। তার দাবি,, যারা কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে প্রতিবাদ করছেন, তারা নৈরাজ্যবাদী। ট্রাম্পের দাবি বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে গিয়ে দেশের প্রগতিশীল বামপন্থী শক্তিগুলি দেশের মধ্যে নৈরাজ্য চালাচ্ছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply