রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অস্ত্রসহ র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার সেই রুবেল সরকার গাজীপুর সিটির মেয়র পদপ্রার্থী উত্তরায় ট্রেনের ধাক্কায় কলেজ ছাত্র নিহত সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল একই পরিবারের ২ বাংলাদেশির ভান্ডারিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত ছাত্র সংসদকে টর্চারসেলে রূপান্তর, ব্যক্তিগত ক্ষোভের জেরে ছাত্র সংসদে ‘ছাত্র’ পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা নীলফামারীতে রোজিনা হত্যার ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও বিচার পায়নি তার পরিবার বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শেরপুর জেলা শাখার পরিচিতি সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গণহত্যার স্বীকৃতি পেতে কাজ করছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নামাজ পড়তে গিয়ে রিকশা হারানো সেই রশিদের পাশে তাশরিফ নতুন অস্ত্র ছাড়া মরতে সেনা পাঠাব না: জেলেনস্কি

১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন টাঙ্গাইলের ১৩৮ জন

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩
  • ২৫ Time View

 

 

আ: রশিদ তালুকদার, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : 

 

মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে টাঙ্গাইলে পুলিশ কনস্টেবল পদে ১৩৮ জনের চাকরি দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। সরকারি নির্ধারিত ফি মাত্র ১২০ টাকায় চাকরি পেলেন জেলার ১২২ জন পুরুষ ও ১৬ নারী। যাচাই-বাছাই
শেষে বুধবার (১৫ মার্চ) রাতে চূড়ান্তদের নাম ঘোষণা দেওয়া হয়।পুলিশ লাইন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। পরে পুলিশ সুপার সবাইকে নিজ হাতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। একইসঙ্গে সকলকে মিষ্টি মুখ করানো হয়।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কনস্টেবল নিয়োগ পাওয়ার জন্য জেলায় ৪ হাজার ৭০৬ জন আবেদন করেন। আর এদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন ৯৩২ জন। আর লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয় ২০১ জন। এর মধ্য থেকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হয় ১৩৮ জনের নাম। এর মধ্যে ১৬ জন নারী ও ১২২ জন হলো পুরুষ।

নিয়োগ প্রাপ্তদের মধ্যে কৃষক, দিনমজুরসহ হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান রয়েছে।১৬ নারীর মধ্যে একজন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার নাল্লা পাড়া এলাকার রবি খানের মেয়ে রুপা আক্তার। রুপা আক্তারের বাবা ৫ বছর ধরে অসুস্থ। রুপা আক্তার বলেন, আমি ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করেছি। আমি গরিব
পরিবারের মেয়ে। অনেক কষ্টে লেখাপড়া করেছি ৷ চাকরি পেয়ে আমি অনেক খুশি। আমি কখনই কল্পনাই করতেই পারিনি যে ১২০ টাকায় চাকরি পাব। আমার এ চাকরিটি খুব দরকার ছিল।

গোপালপুরের নগদা শিমলা ইউনিয়নের উজ্জল মিয়া বলেন, আমার বাবা একজন কৃষক। আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি ২ বছর অন্যের দোকানে কর্মচারীর কাজ করেছি। অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি। পুলিশের এ চাকরি আমার খুব দরকার ছিল। চাকরিতে উত্তীর্ণ হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আমি দেশের এবং মানুষের সেবা করতে চাই।টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, পুলিশ কনস্টেবল
নিয়োগ সম্পূর্ণ স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে আইজিপির উদ্যোগে সম্পূর্ণ নতুন নিয়মে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষাটি সম্পন্ন হয়েছে। শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই তারা প্রার্থমিকভাবে চাকরিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের অনেকেই হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। প্রকৃত মেধাবিরাই সুযোগ
পেয়েছে চাকরিতে।

এতে পুলিশের প্রতি আস্থা বেড়েছে।তিনি আরও বলেন, ‘সরকারসহ পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা চাচ্ছেন পুলিশে স্বচ্ছতা ফিরে আসুক। সেই চাওয়া পূরণেই টাঙ্গাইল পুলিশ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছে। এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত রাখতে চাই। পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশ সবসময়ই
জনগণের স্বার্থে কাজ করে।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়