মো: হারুন অর রশিদ, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি: পঞ্চগড় সদরের মো: মিন্টু মিঞার স্কুল পড়–য়া ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী মো: মুন্নি আক্তার(১২) ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করে আসছিল। এমতাবস্থায় গত ৪ মাস পূর্বে একই এলাকার মাছ ব্যবসায়ী নারী লোভী, কু-চরিত্রবান, লম্পট মো: তসলিম উদ্দীন(২৮), পিতা- মো: জমিরউদ্দীন, স্থায়ী ঠিকানা, গ্রাম- খালপাড়া, পোষ্ট- অমর খানা, বর্তমান ঠিকানা- পঞ্চগড় সদর শিং পাড়া। এই তসলিম দিনমুজুর মো: মিন্টুর দূর্বলতার সুযোগ বুঝে তার স্কুল পড়–য়া মেয়ে কে নানা লোভ লালসা দেখিয়ে শিশু মুন্নিকে একটি নিঝুম এলাকায় নিয়ে জোড় পূর্বক মুখ চেপে ধরে ভয়-ভীতি দেখিয়ে পর পর কয়েকবার ধর্ষন করে। পরে মুন্নি লোখ লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু না বলায় তার যৌনাঙ্গে ইনফেকশন হয় শিশু মন্নির। তার চলা ফেরার বেঘাত ঘটলে তার মায়ের বিষয়টি নজরে পরে। তারপর পরেই ধর্ষক মো: তসলিম গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় ধর্ষিতার বাবা মিন্টু মিঞা বাদী হয়ে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। যাহার ফৌজদারি মামলা নং- ১৫৪, এখন ধর্ষিতার পিতা মাতা ধর্ষক মো: তসলিম কে কেন পুলিশ গ্রেফতার করছে না এ নিয়ে তারা বিভিন্ন মহলের কাছে মৌখিক অভিযোগ জানান এবং বলেন এ দেশে কি গরীব মানুষের বিচার নেই। অন্যদিকে ধর্ষিতার মা জানান ধর্ষক প্রকাশে তার গ্রামের বাড়িতে ঘুরে বেরাচ্ছে এবং আমাদের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। মুন্নির মা এও জানান যে, তসলিমের পিছনে একটি প্রভাবশালী মহল ইন্ধন যোগাচ্ছে। তাই আমরা সু-বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এ বিষয়ে মামলা দায়িত্ব প্রাপ্ত এস আই সামিদের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি ধর্ষিতার পক্ষে চার্জশিট কোর্টে দাখিল করেছি। বাকী বিষয়ে আদালত থেকে নির্দেশনা আসলে আমরা আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।
Leave a Reply