নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারাদেশে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা নগদ সহায়তা বিতরণের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের হিসাবে সরাসরি নগদ অর্থ প্রেরণের এই কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবার মে ও জুন মাসে ৫ হাজার টাকাকরে পাবেন। এর মধ্যে মে মাসের জন্য আড়াই হাজার টাকা করে দেয়ার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ প্রথমদিন ১০ লাখ পরিবারকে এ অর্থ দেয়া হবে। এর পরবর্তী চারদিন ৪০ লাখ পরিবারকে এ অর্থ দেয়া হবে বলেও সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এ জন্য ইতোমধ্যে এক হাজার ২৫৭ কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সহায়তার এ অর্থ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিনা খরচে প্রত্যেক পরিবারের হাতে ঈদের আগে পৌঁছে দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্বভার যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিয়েছিলেন তখন কোনো সঞ্চয় ছিল না, ব্যাংকে কোনো জামানতও ছিল না। বঙ্গবন্ধু মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছিলেন। এমন কিছু ছিল না, যা রিলিফে দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশে তখন মঙ্গা থাকে না, দরিদ্র থাকে না, এটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। প্রবৃদ্ধি ৮.১ অর্জন করেছিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা যখন আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি এমন সময় এমন একটি অদৃশ্য শক্তির প্রভাবের আঘাত, যার ফলে সমগ্র বিশ্ব একেবারে থমকে গেছে। সারা বিশ্ব অর্থনৈতিকভাবে আক্রান্ত। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে যেখানে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। একটি অদৃশ্য শক্তির হঠাৎ আক্রমণের ফলে সবাই বিপর্যস্ত।’
করোনাকালে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ভূখণ্ড ছোট কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনীতি সচল রাখা উচিত। এজন্য আমাদের রয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। অন্যান্য দেশে যেভাবে মৃত্যু কিংবা আতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে এবং মারা গেছেন এর তুলনায় আমরা কিন্তু অনেক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা পৃথিবীতে অনেক অস্ত্র ও অর্থের শক্তি দেখেছি কিন্তু করোনাভাইরাসের মতো একটা অদৃশ্য শক্তিকে কেউ মোকাবেলা করতে পারছে না। অস্ত্র ও অর্থ কোন কাজে লাগছে না।
জীবন ও জীবিকার জন্য সাধারণ ছুটি শিথিল করা হয়েছে বলে জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply