বিশেষ প্রতিনিধি: যৌতুক মামলায় ৫ বার গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হওয়া স্বত্বেও আসামিকে গ্রেফতার করছেনা কুমিল্লার কোতয়ালী থানা পুলিশ। সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার চৌমুহনীর দক্ষিণ চরথা এলাকায় ইমরোজ ইউনানী ল্যাবরেটরীজ এ কমরত ওহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গত ২৮ সেপ্টেম্বর খুলনার বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে আসামির স্ত্রী সাহানাজ আক্তার সুমি বাদী হয়ে যৌতুক নিরোধ আইনের (৪) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার নং-৩৪৯/১৭ ইং। উক্ত মামলার পরিপেক্ষীতে আসামীর বিরুদ্ধে ২০ নভেম্বর আসামির বতমান ঠিকানা কুমিল্লার নামে একটি গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়। কিন্তু কোতয়ালী থানা পুলিশ এই গ্রেফতারী পরোয়ানার পরে বিশ দিন অতিবাহিত হলেও গ্রেফতার করছেন। একই ঠিকানায় ১০ ই ডিসেম্বর আরেকটি গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে খুলনার আদালত। এর পরেও পুলিশ তার মূল্যায়ন না করলে আসামির বিরুদ্ধে পর পর সবশেষ গত ৬ ই ফেব্রুয়ারী ১৮ ইং সহ মোট পাঁচ বার গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হলেও গতকাল পযন্ত আসামিকে গ্রেফতার করছেনা কোতয়ালী থানা পুলিশ। তবে গোপন এক তথ্য অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে গ্রেফতারের দায়ীত্বে থাকা পুলিশ আসামী ওহিদুজ্জামানের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ খেয়ে গ্রেফতার না করে তাকে উল্টো সহযোগীতা করার অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় আসামী ও পুলিশ এক টেবিলে বসে চায়ের আড্ডা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এর আগে পিরোজপুর জেলার নাজির পুর থানাধীন দক্ষিণ বানিয়ারী এলাকার সাহাবুদ্দিন দরানীর ছেলে যৌতুক লোভী ছেলের সাথে খুলনা খালিশপুরের জোড়াগেট এলাকার মো: সাহেব আলী হাওলাদার এর মেয়ের শাহনাজ আক্তার সুমির সাথে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে ওহিদুজ্জামান ওরফের ওহি তার স্ত্রী শাহনাজকে যৌতুকের জন্য চাপ দিলে তার পিতা তার মেয়ের সুখের কথা বিবেচনায় এনে ধারদেনা করে প্রায় চার লক্ষাধীক টাকার স্বর্নালংকার ও ফানিচার ক্রয় করে দেয়ার কয়েকমাস যাবার পরে আবার তাকে যৌতুকের জন্য অত্যাচার করে আসছিল । এই অত্যাচারের মাত্রা সহ্যা করতে না পেরে শাহনাজ খুলনা আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
Leave a Reply